× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভাতা পেতে চাইলে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করুন

শরীয়তপুর সংবাদদাতা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৪ পিএম

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৬ পিএম

ভাতা পেতে চাইলে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করুন

বয়সের ভারে অনেকটা নুয়ে পড়েছেন শরীয়তপুরের হালিমা খাতুন। থাকছেন ছেলেদের সঙ্গে। জীবিত থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তাকে দেখানো হয়েছে মৃত। সম্প্রতি বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে গেলে বিষয়টি জানতে পারে তার পরিবার। তাই ভাতার কার্ড পাচ্ছেন না হালিমা খাতুন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিমা খাতুনের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের আইজউদ্দিন সরদারকান্দি এলাকায়। স্বামীর নাম কাইয়ুম শিকদার। তার জন্ম ১৯৩৫ সালে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েছিলেন হালিমা খাতুন। আঙুলের ছাপ না মেলায় সেদিন ফিরে এসেছিলেন তিনি। তখন বিষয়টি আমলে নেয়নি পরিবারের সদস্যরা।

সম্প্রতি বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আবেদন করলে সেখান থেকে জানানো হয়, তিনি ‘মৃত’। ছয় বছর আগেই মারা গেছেন। আর জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে পারলে বয়স্ক ভাতা মিলবে তার। হালিমার বড় ছেলে মোস্তফা শিকদার বলেন, মায়ের জন্য বয়স্ক ভাতার কার্ডের আবেদন করতে গেলে তারা জানায়, আইডি কার্ডে নাকি তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। তিনি নাকি ছয় বছর আগেই মারা গেছেন। আমরা তো বিষয়টি জানতামই না। কিন্তু আমার মা তো এখনও জীবিত। যারা হালনাগাদ করেছে তারাই এ ভুল করেছে। তাদের এ ভুলের জন্য আমার মা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। হালিমা খাতুনের পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম বলেন, শাশুড়ি এখনও জীবিত। বয়স্ক ভাতার কার্ড করতে গেলে ওনারা জানায় আমার শাশুড়ি নাকি মৃত। এ কারণে তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেওয়া হয়নি।

বড় গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সরদার বলেন, কাইয়ুম শিকদারের স্ত্রী হালিমা খাতুন এখনও জীবিত। যারা ভোটার আইডি কার্ড হালনাগাদ করেছেন তারা ভুলে হালিমা খাতুনকে মৃত বানিয়েছেন। এ রকম অনেক মানুষের ভোটার আইডি কার্ড ভুলে ভরা। এসব সংশোধন করতে মানুষের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাজিরা উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় মৃত ব্যক্তির ভোটার তালিকায় হালিমা খাতুনের নাম চলে এসেছে। এ ছাড়া বাকি সবকিছু ঠিকঠাক আছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার যোগাযোগ করলে সমস্যার সমাধান হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা