মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:২২ পিএম
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪০ পিএম
ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ শুরু হয়েছে। প্রবা ফটো
মোংলায় পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে কয়লা অপসারণের কাজ শুরু করে মালিকপক্ষ।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় পশুর নদীর চরকানা এলাকায় এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ নামে কার্গো জাহাজ ৮০০ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায়।
জাহাজটির যৌথ মালিক মো. বশির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কার্গো জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ২৭ ঘণ্টা পর জাহাজ থেকে কয়লা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছি। কয়লা উঠানোর পর কার্গো উত্তোলনের কাজ করা হবে। কয়লা অপসারণের কাজে ফারহা নামক একটি ট্রাকবোট ও অপসারণ করা কয়লা রাখার জন্য মা বুশরা নামে অন্য একটি নৌযান ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কয়লা অপসারণসহ জাহাজটি উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে অবস্থানরত মার্শাল আইল্যান্ড পতাকাবাহী এমভি দুবাই নাইট জাহাজ থেকে ৮০০ টন কয়লা বোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়া যাওয়ার সময় শুক্রবার দুপুরে পশুর নদীর চরকানা এলাকায় তলাফেটে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ। তবে এ ঘটনায় বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মো. নুর আলম শেখ বলেন, কয়লা একটি বিষক্ত ময়লা। এতে পশুর নদীর প্রাণিবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। নদীর প্রাণিকুলের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হবে। এ ছাড়া পশুর নদীর প্রাণ সুন্দরবনেরও জীববৈচিত্র্যও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই দ্রুত সময়ে এই কয়লা অপসারণ করতে হবে।