বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:২৫ পিএম
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৮ পিএম
আবুল কালাম আজাদ। প্রবা ফটো
বরগুনার আমতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক তিন মাস ধরে স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে।
ওই শিক্ষকের নাম আবুল কালাম আজাদ। গুলিশাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব গুলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিনি। গত ১০ আগস্ট থেকে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে আমতলীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ তার বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিবিধি অনযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমতলীর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, ৩০ আগস্ট ওই ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক আবুল কালামের অনুপস্থিতির বিষয় জানা যায়। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আবুল কালামের পরিবারের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিলে তারা জানায় কাউকে কিছু না বলে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। বিনা অনুমতিতে এভাবে নিখোঁজ থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তার বেতন ভাতা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন।
গুলিশাখালী ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, গত ১০ আগস্ট থেকে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত রয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাই অফিসে দেওয়া তার মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি রিসিভ করছেন না। আবার কখনও কখনও তার ব্যবহৃত ফোন বন্ধও পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয় জানতে প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে তার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন বলেন, ‘আমার স্বামী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই তার মানসিক অবস্থা ভালো না। দেনায় জড়িয়ে আকস্মিক কাউকে কিছু না জানিয়ে ১০ আগস্ট থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। আমি আমার সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।’