গৌরনদীতে প্রসূতিকে ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়ার অভিযোগ

বরিশালের গৌরনদীতে একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের আগে প্রসূতিকে ভিন্ন গ্রুপের রক্ত দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার মৌরী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

ওই রোগীর নাম তানিয়া বেগম। তিনি গৌরনদী উপজেলার টরকীরচর এলাকার কাতারপ্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী। 

রোগীর ভাই ইউসুফ খন্দকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার বোন তানিয়াকে শুক্রবার বিকালে মৌরী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসক মনিরা হক দ্রুত অস্ত্রোপচারের কথা বলে রক্ত সংগ্রহের পরামর্শ দেন। বোনের রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভের রক্ত সংগ্রহ করি। সন্ধ্যার পর আমাদের সংগ্রহ করা ও পজিটিভ গ্রুপের রক্ত না নিয়ে অস্ত্রোপচার কক্ষে থাকা বি পজিটিভ রক্ত দেওয়া শুরু হয়। এরপর আমার আরেক বোন পারভীন বেগম অস্ত্রোপচার কক্ষে গিয়ে দেখেন বি পজিটিভ রক্ত তাকে দেওয়া হচ্ছে। এতে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে।’

ইউসুফ বলেন, ‘দ্রুত বিষয়টি চিকিৎসক মনিরা হক ও সাইফুল ইসলামকে অবহিত করি। তারা রক্ত দেওয়া বন্ধ করে দেন। পরে অস্ত্রোপচার করা হয়। বোন এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।’

ইউসুফ বলেন, ‘বর্তমানে বোন সুস্থ আছেন। ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দেখবে বলে জানিয়ে বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে। তাই আমরা কোনো অভিযোগ দিচ্ছি না।’ 

তানিয়া বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ। কিন্তু আমার শরীরে বি পজিটিভ রক্ত দেওয়া হয়েছে। এতে শরীরে খিঁচুনি এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ভুল রক্ত দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।’ 

এ বিষয়ে চিকিৎসক মনিরা হকের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। অপর একটি নম্বরে কল করা হলে এক নারী কল রিসিভ করে বলেন, ‘ম্যাডাম নেই।’ 

চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছে। তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। সোমবার আমি ক্লিনিকে যাব। তখন আসবেন কথা বলব।’ পরে তিনি ক্লিনিকের মার্কেটিং ব্যবস্থাপক লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। 

মার্কেটিং ব্যবস্থাপক লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। 

বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রক্তের ক্রস ম্যাচিং না করে দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।