কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৬ এএম
আনিসুল হক নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার খবরে আনন্দ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে আবারও মনোনয়ন পেয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি। গত রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
আনিসুল হকের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ার খবরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয় নির্বাচনী এলাকায়। এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করছে তারা। আনিসুল হক দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন আইনমন্ত্রীসহ ৭ জন। তাদের মধ্যে এ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ আলমও ছিলেন। ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য কেএম বদিউল আলমও। এ ছাড়াও কেন্দ্রের যুবলীগের সাবেক নেতা শ্যামল কুমার রায় ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি, জেলা যুবলীগ নেতা তসলিমুর রেজা ও কসবা যুবলীগের সাবেক নেতা হাজী লুৎফুর রহমানও মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। সবাইকে ছাপিয়ে আনিসুল হককেই মনোনয়ন দেয় দল।
সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করার ইচ্ছা তার নেই। দল আনিসুল হককে মনোনয়ন দিয়েছে তিনি তার পক্ষ হয়ে কাজ করবেন বলেও জানান। কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য কেএম বদিউল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দলের সম্মান রক্ষায় আনিসুল হকের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি জানান, আইনমন্ত্রী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আইনমন্ত্রীকে আবারও দল মনোনয়ন দিয়েছে। দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে তার হয়েই কাজ করবেন। দলীয় মনোনয়নপত্র কিনে মনোনয়ন উৎসবে যোগদান করেছেন মাত্র।
আনিসুল হক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রধান কৌঁসুলি, দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য, বরেণ্য আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের ছেলে। বঙ্গবন্ধু ও বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করে আসছেন তিনি। বিগত দশ বছরে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন বলেন, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তী এ এলাকায় এমন উন্নয়ন হয়নি। এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে তিনি (আনিসুল হক) নিজেকে তৃপ্ত মনে করেন। তার হাত ধরেই এলাকার রাজনীতিতে শান্তির সুবাতাস বইছে।
কসবা পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি এমজি হাক্কানী বলেন, ‘তিনি (আনিসুল হক) বিজনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করে কসবার মানুষের দুঃখ ঘুচিয়েছেন। তিনি জনগণের কাছে একজন স্বজ্জন ব্যক্তি।’