বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর, আরও একজন গুলিবিদ্ধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রোকনপুরে বিএসএফের গুলিতে রজিম আলী নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রজিম আলী গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুরের আবুল কালামের ছেলে। তিনি রোকনপুরের নগরপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।

বিজিবি-১৬ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নোমান ফারুক জানান, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের খবর শুনেছেন তারা। তবে তার পরিবার বা অন্য কেউ অভিযোগ করেনি। স্থানীয়ভাবে নিহতের খবর শুনে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। পতাকা বৈঠক শেষেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এলাকাবাসী বলছে, শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে রোকনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন রজিম। ভারতের অভ্যন্তরে ভবানিপুর পালকি এলাকায় প্রবেশ করলে বিএসএফের সদস্যরা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনায় আরও একজন বাংলাদেশি আহত হয়ে আত্মগোপনে আছে বলেও এলাকাবাসীর দাবি।

অপরদিকে পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকায় গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবক আহত হয়েছেন। তাকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করেছে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য। আহত যুবকের নাম হাবিবুর রহমান ওরফে ছুটু। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নুরপাড়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি শনিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের নুরপাড়া এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু আনতে যাওয়ার সময় আহত হন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, ‘হাবিবুর রহমান নামের ওই যুবক বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন। তার বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে ভারত সীমান্ত। শুনেছি বিএসএফ সদস্যদের সঙ্গে তর্ক করার সময় বিএসএফ তাকে গুলি করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ ঘটনার পর থেকে হাবিবুর ও তার স্ত্রীর মোবাইল বন্ধ।

বড়শশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, যুবক ’গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে বিস্তারিত কেউ জানায়নি। এ বিষয়ে বিজিবির বড়শশী বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার কোনো কিছু জানাতে পারেননি।’

বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. সোহেল বলেন, ’রবিবার ভোরে হাবিবুরকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তার সঙ্গে থাকা লোকজন বলছিলেন, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার ডান ঊরু দিয়ে রক্ত ঝরছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।’

বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, ’বিএসএফের গুলিতে আহত যুবককে রবিবার ভোরে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় তার স্বজনরা। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে রংপুরে নিয়ে যায় স্বজনরা।’