মাগুরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩২ পিএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০২ পিএম
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ নেতা মোর্শেদ টুকু। প্রবা ফটো
মাগুরায় আওয়ামী লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন গয়েশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্ঠ এই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ এসেছে। হামলার ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবাধ বাজারের গো-হাট মোড়ে হামলার শিকার হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ টুকু। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম ও হাতুড়িপেটা করা হয়। গুরুতর অবস্থায় পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
চিকিৎসাধীন টুকু জানান, ৩০ নভেম্বর মাগুরা-১ আসন থেকে সাকিব আল হাসানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ কারণে ওই দিন তার নেতৃত্বে এলাকায় একটি আনন্দ মিছিল হয়। এর জেরে গয়েশপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্যা ও তার সমর্থক মো. জিনারুল, মো. শিমুল, মো. রিজিভীসহ ৮ থেকে ১০ জন হামলা করে।
তিনি বলেন, ‘লাঙ্গবাধ কৃষি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ওপর হঠাৎ রামদা ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে তারা। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তাছের আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘মোর্শেদ টুকুর ওপর হামলার বিষয়টি পরে জানতে পেরেছি। সাইফুজ্জামান শিখরের অনুসারী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্যার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার বিরোধ চলছিল। সাকিব মনোনয়ন পাওয়ায় টুকু আনন্দ মিছিল করেন। এটাই হামলার কারণ হতে পারে।‘
জেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক রানা আমির উসমান বলেন, ‘গয়েশপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মোল্যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ এসেছে। সে এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্ঠ।’
এক প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত আব্দুল হালিম মোল্যা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ’ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।’ এর পরই ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, আহত মোর্শেদ টুকুর পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম। কোনো আসামি আটক হয়নি।