× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আখাউড়া রেলক্রসিং

হাসপাতালের রোগীদের ১০ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়

রুবেল আহমেদ, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৯ এএম

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হলে রেলক্রসিংটি পার হতে এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রোগীদের। প্রবা ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হলে রেলক্রসিংটি পার হতে এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রোগীদের। প্রবা ফটো

পূর্বাঞ্চল রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের দক্ষিণ আউটারে লালবাজার রেলক্রসিং। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হলে এ রেলক্রসিংটি পার হতে হয়। তা ছাড়া পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যবসায়িক এলাকা লালবাজার ও বড় বাজার। এ দুটি বাজারকে আলাদা করেছে আখাউড়া-চট্টগ্রাম রেলপথ। এ ক্রসিংয়ে দিনে অন্তত আট ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। এতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় এ ক্রসিং দিয়ে চলাচলকারী ব্যক্তিদের। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় রোগী ও তার স্বজনদের। প্রসূতি নারীসহ জরুরি রোগীদের জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে এখানে আটকে থাকতে হয়। স্থানীয়দের দাবি লালবাজার রেলক্রসিংয়ে দ্রুত আন্ডারপাস অথবা ওভারপাস নির্মাণের। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন উন্নীত করার কারণে লালবাজার রেলক্রসিংয়ে নতুন ১২টি রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ পথে বর্তমানে প্রতিদিন যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে ৪০টি। প্রতিটি ট্রেনের জন্য অন্তত ১৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে এ ক্রসিংয়ে। এতে করে দিনে ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকে এই সড়কপথ। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র সড়কপথটিতে রেলক্রসিংয়ের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা দৈনিক অন্তত ৫০০ রোগীর। এ ছাড়াও পৌর শহরের দেবগ্রাম, রাধানগর, লালবাজার, বড় বাজার, শান্তিনগর ও সদর উপজেলার বরিশলসহ বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ দৈনন্দিন কাজে এ রেলক্রসিং পার হয়ে চলাচল করে। তাদের দাবি জনদুর্ভোগ লাঘবে রেলক্রসিংয়ে আন্ডারপাস অথবা ওভারপাস নির্মাণ, না হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর। 

উপজেলার নয়াদিল গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত বুধবার সকালে আমার স্ত্রীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসছিলাম। লালবাজার রেলক্রসিংয়ের সামনে আসামাত্র ২০ মিনিট আটকে যাই। এমন অবস্থা খুবই অস্বস্তিকর। হাসপাতালে যেতে মানুষের জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে রেলক্রসিংয়ে আটকে থাকতে হয়।’ 

গত শনিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় বিষ খেয়েছিল। তাকে সিএনজি করে আখাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসি। আসার পথে রেলক্রসিংয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা আটকে থাকি। এ সময়টা যে কী অবস্থা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহ বলতে পারেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিকল্প কিছু করা প্রয়োজন।’

কলেজপাড়ার বাসিন্দা কাউছার মিয়া বলেন, ‘বাসা থেকে ১০ মিনিটের পথ রেলক্রসিংয়ের অবস্থান। খাদ্যপণ্যের ডিলারশিপের ব্যবসা করি। প্রতিদিন যাতায়াত করি। সকাল-বিকাল যাওয়ার সময় রেলক্রসিংয়ে আটকে থাকতে হয়। ট্রেন চলে গেলেও তীব্র যানজটের কারণে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ভোগান্তি নিয়মিত। এখানে দ্রুত আন্ডারপাস বা ওভারপাস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হোক।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিমেল খান বলেন, ‘হাসপাতালে আসার একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়কটির প্রধান প্রতিবন্ধকতা রেলক্রসিং। সারা দিনই মোটামুটি ট্রেন আসতে থাকে। গেট পড়ে থাকার কারণে জরুরি রোগীদের বেশ অসুবিধার পড়তে হয়। রোগীরা যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছে না। পাশাপাশি কোনো রোগী অন্যত্র রেফার করলে অ্যাম্বুলেন্স যেতে খুবই সমস্যা হয়। এজন্য হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।’

জানতে চাইলে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন বলেন, ‘প্রকল্পের শিডিউলে এ ক্রসিংয়ের জন্য বিকল্প কিছু নেই। তবে আখাউড়া-সিলেট আরও একটা প্রকল্প হবে। সেই প্রকল্পে এই ক্রসিংয়ের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা