লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১১ পিএম
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রবা ফটো
বরিশালের হিজলা উপজেলার কানিবগারচরে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুই কৃষককে গুলি ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আহতরা হলেন ইব্রাহিম আখন ও ইয়াসিন আখন। তারা দুজন হিজলা থানাধীন মেঘনা নদীর কানিবগার চরের মোসলেম আখনের ছেলে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়ের আহমেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, কানিবগার চরে মিজান গ্রুপ ও মিঠু চৌধুরী গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। চরের জমি দখলে নিয়েই দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি দুই গ্রুপের লোকজনই আহত হয়েছে। তবে ইব্রাহিম ও ইয়াসিনের আহতের ঘটনা নিশ্চিত হয়েছি। অন্যদেরটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল দুর্গম চর। সেখানেই চাইলেই সময়মতো যাওয়া যায় না। লিখিত অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জমির মালিক দাবি করা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইব্রাহিম ও ইয়াসিন আমাদের জমিতে চাষাবাদ করে। মঙ্গলবার রাতে রাসেল খাঁ, মিন্টু খাঁ, হালিম খাঁ, নাসির সর্দার, বাকের মৃধ্যা ও সোহাগসহ প্রায় ২০ জনের অস্ত্রধারী লোক ইব্রাহিম ও ইয়াসিনের ওপর হামলা করে। এ সময় তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। একপর্যায়ে গুলি করলে ইয়াসিনের বুকে গুলি লেগে আহত হয়।’
আহত ইয়াসিনের স্ত্রী কাজল রেখা বলেন, ‘আমার ভাসুর ইব্রাহিম ও ইয়াসিন ঢাকায় থাকেন। মঙ্গলবার রাতেই তারা ঢাকা থেকে আসেন। এরপরই অতর্কিতভাবে মিন্টু খাঁ ও রাসেল খাঁ দলবল নিয়ে হামলা চালায়। আমার স্বামীর ইয়াসিনের দুই পা ভেঙে দিয়েছে হামলাকারীরা। তারা ডাকাত। আমর স্বামীর বুকে গুলি লেগেছে। আমার ভাসুর ইব্রাহিমের চোখ উপড়ে ফেলতে চেয়েছিল। একপর্যায়ে দুজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়।’
তবে এ বিষয়ে রাসেল খাঁসহ অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তবে রাসেলের ভাই আমান উল্লাহ খাঁ বলেন, ‘আমার ভাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনার সময় তিনি ভোলা সদর থানা এলাকায় ছিল। থানার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।’ তবে আহত ইব্রাহিম ও ইয়াসিন তাদের লোক হিসেবেও দাবি করেছেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, আহত ইব্রাহিমের মাথা-পা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ইয়াসিনের বুকে ছর্রা গুলির চিহ্ন রয়েছে। দুই পা ভাঙা মনে হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।