রংপুর অফিস
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:০১ পিএম
রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন মাহমুদা বেগম। ছবি : প্রবা
আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উচ্ছেদসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে এক পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মাহমুদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, রংপুর কারমাইকেল কলেজ সংলগ্ন লালবাগ চকিহাটি এলাকায় ১৯৭১ সালে সৌরেন্দ্রনাথ চন্দ্রের কাছে তিন শতক জমি কেনার উদ্দেশ্যে বায়না করেন মাহমুদা বেগমের স্বামী জমির উদ্দিন। বায়নাপত্র সম্পাদনের কিছুদিন পর সৌরেন্দ্রনাথ মারা যান এবং তার কোন ওয়ারিশ না থাকায় ওই জমিতে খাবার হোটেল স্থাপনসহ ঘরবাড়ি করে গত ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তিনি।
চলতি বছরের ১ জুন কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন একটি নোটিশের মাধ্যমে ওই জমিটি কলেজের দাবি করে ঘরবাড়ি ও হোটেল অপসারণের জন্য নোটিশ পাঠান। এ ঘটনায় মাহমুদা কাগজপত্র নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কলেজ প্রশাসনের নির্দেশে খাবারের হোটেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলে ওই স্থানে নির্মাণ কাজ বন্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এরই মধ্যে গত ৬ ডিসেম্বর আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে কলেজ প্রশাসন ওই জমিতে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় মাহমুদা তাজহাট থানায় মামলা করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন।
মাহমুদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। পুরো পরিবার হোটেলের আয় দিয়ে চলি। এ জমিটি কলেজের নয়, বায়নাসূত্রে আমরা ভোগ-দখলে রয়েছি। আমি বিষয়টি সমাধানে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদা বেগমের ছেলে মামুন মিয়া, ছেলের বউ লাইজু বেগম এবং আত্নীয় সুলতানা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কারমাইকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি কলেজের কৃষি জমি সংরক্ষণ কমিটি দেখভাল করছে।
কৃষি জমি সংরক্ষণ কমিটির সদস্য তানজিউর রহমান বলেন, সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার কারমাইকেল কলেজের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই সীমানা ধরে প্রাচীর নির্মাণ করছে। যে স্থানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেখানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও কলেজ অধ্যক্ষের আলোচনা করার কথা। যেহেতু এটি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই আমি তাদের আদালতের মাধ্যমে সমাধানের কথা জানিয়েছি।