প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
দিনাজপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৫ পিএম
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪২ পিএম
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিস। প্রবা ফটো
দিনাজপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার ও অন্যের হয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) আটকদের বিরুদ্ধে পরীক্ষাকেন্দ্রর দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিবেরা পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলা করেছেন। তাদের আদালতের মধ্যমে কারাগারে পাঠোনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরের ৮টি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর আদালতে পাঠানো হয়েছ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত মাস্টারকার্ড, ব্লুটুথ ডিভাইস ও মোবাইল ফোন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার ৫৪টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৮ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৮ হাজার ৩৭৫ জন। পরীক্ষায় প্রক্সি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার এবং অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৮ জনকে বহিষ্কার ও আটক করা হয়েছে। আটক করা ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন।
আটকরা হলেন, দিনাজপুর সদর উপজেলার মুরাদপর গ্রামের মুসলিমা খাতুন, দাইনুর গ্রামের শরিফুল আলম, ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের উম্মে সালমা ও খানপুর গ্রামের নাসরিন জাহান, বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. কামরুজ্জামান, রানীপুর গ্রামের রাহেনা খাতুন, বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়ারপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, বীরগঞ্জ উপজেলার এলেঙ্গা গ্রামের শেফালী রায়, উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান, কগিরপাড়ার জামিল বাদশা ও বনগাঁও গ্রামের মো. রাকিব, চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ আলোকদীঘি গ্রামের কবিতা রানী রায়, দক্ষিণ আলোকদীঘি গ্রামের সবুজ চন্দ্র রায়, হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার মাধবপাড়ার জাকিয়া ফেরদোস, নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা গ্রামের তানিয়া মাশতাবী, বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার সায়েম মোল্লা তন্ময়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের সুজন আলী এবং ফরিদপুর জেলার নগরবাদা থানার দফা গ্রামের উর্মিলা আক্তার।