প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ
দিনাজপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:২৫ পিএম
আটক ৯ জনকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। প্রবা ফটো
দিনাজপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার ও অন্যের হয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ১৮ জনের মধ্যে ৯ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে আটক ৯ নারীকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে আটকদের দিনাজপুরের জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে বিচারক মনিরুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
দিনাজপুর পুলিশ কোর্ট ইন্সপেক্টর এ.কে.এম লিয়াকত আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দিনাজপুর জেলা সদরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদর আটক করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার সকালে আটকদের বিরুদ্ধে আটটি পরীক্ষা কেন্দ্রর দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিবেরা পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলার করেন।
দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযুক্ত মাস্টারকার্ড, ব্লুটুথ ডিভাইস ও মোবাইল ফোন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার ৫৪টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৮ হাজার ৯ জন। এরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২৮ হাজার ৩৭৫ জন। পরীক্ষায় প্রক্সি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার এবং অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৮ জনকে বহিষ্কার ও আটক করা হয়েছে। আটক ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ ।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেস, আটকদের বিরুদ্ধে আটটি পরীক্ষাকেন্দ্রর দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিবেরা পাবলিক পরীক্ষা আইনে মামলার করেন। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হলে ৯ জনকে জামিন দিয়েছেন। বাকি ৯ জনকে দিনাজপুর কারাগারে পঠানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো ৯ জন হলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর গ্রামর শরিফুল আলম, বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. কামরুজ্জামান, বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়ারপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, বীরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান, কগিরপাড়ার জামিল বাদশা ও বনগাঁও গ্রামের মো. রাকিব, চিরিরবন্দর উপজলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের সবুজ চন্দ্র রায়, বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার সায়েম মোল্লা তন্ময় এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজলার বকুয়া গ্রামের সুজন আলী।