ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১৭ এএম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৩৩ এএম
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়ায় পানিশূন্যতায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। তারা সবাই এক ব্যবসায়ীর হালখাতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল। সেখান থেকে সরবরাহ করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু রিয়ানের মৃত্যু হয়। রিয়ান পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রুহিয়া ইউনিয়নের উত্তরা বাজারের মেসার্স হেনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কীটনাশক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সোমবার হালখাতা উপলক্ষে খাবার বিতরণ করা হয়। সে খাবার খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অসুস্থ এক শিশু সদর হাসপাতালে মারা গেছে। অর্ধশত মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। কী কারণে এমনটা হয়েছে এখন পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আমরা তথ্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছি।
রুহিয়া রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বলেন, ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বাড়িতে রান্না করা ব্রয়লার মুরগির মাংস এবং ভাত প্যাকেট করে দোকানে এনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে বিতরণ করেন। অতিথিরা যার যার প্যাকেট নিয়ে বাড়ি যান। যে শিশুটি মারা গেছে তাদের বাসায় গিয়ে জানতে পারি ওই খাবার খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। অর্ধশত মানুষ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কীটনাশক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি ওই খাবার খাওয়ার পর। আমার দোকানে যারা খেয়েছিল তারাও শুনছি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি নিজেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘পানিশূন্যতা নিয়ে হাসপাতালে দুই শিশু ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়ান নামে তিন বছরে শিশু আজ (১৩ ডিসেম্বর) মারা গেছে। অন্য শিশুটিকে আমরা রংপুরে রেফার্ড করেছি। এ পর্যন্ত সদর হাসপাতালে অসুস্থ আটজন ভর্তি আছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি যারা যারা হালখাতার খাবার খেয়েছিল তারাই অসুস্থ হয়েছে। ধারণা করছি, ওই খাবারে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনো উপাদান ছিল।’