কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:১৬ পিএম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩১ পিএম
দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। প্রবা ফটো
শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। প্রবল শীতে কষ্ট বেড়েছে শ্রমজীবী মানুষের। শীত ও ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না বৃদ্ধ ও শিশুরা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট পাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার রেশ কাটেনি এই অঞ্চলে।
রিকশাচালক সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কনকনে ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ইনকাম না করলে খামু কী? ঠান্ডায় ভালো জ্যাকেটও নাই, বাধ্য হয়ে যা আছে তাই পরে বের হয়েছি।’
ভ্যানশ্রমিক আজগার আলী বলেন, ‘আজকে বছরের সেরা হাড়কাঁপা ঠান্ডা পড়েছে। এত ঠান্ডাতে ভ্যান চালান মুশিকল। ভ্যান না চালাইলে হাঁড়িত ভাত ওঠে না। হামরা সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতাও পাই না।’
পৌষ মাস না পড়তেই শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুশ্চিন্তায় দেশের সর্বোচ্চ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করা এ জেলার মানুষ। বেশি কষ্টে নিম্ন আয়ের মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে শীতবস্ত্রের দাবি জেলার ছিন্নমূল মানুষের।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘চলতি বছর শীতার্ত মানুষের জন্য জেলায় ৪৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শীতের প্রতিকূল পরিবেশে ছিন্নমূল মানুষকে রক্ষায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।’