ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে আটকা ৬ ফেরি

আকস্মিক ঘন কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে প্রায় দেড় ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝনদীতে ছোট-বড় ছয়টি ফেরি আটকা পড়ে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দুর্ঘটনা এড়াতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়। কুয়াশা কমলে সকাল পৌনে ১০টার পর আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সকালে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে রো রো (বড়) ফেরি কেরামত আলী এবং ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি বনলতা নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা ঢাকাগামী যানবাহন তোলা হচ্ছিল। সকাল সোয়া আটটার দিকে নদী অববাহিকা আকস্মিকভাবে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায়। এ সময় দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ঘাটে আরেকটি রো রো ফেরি শাহপরানও যানবাহন বোঝাই করে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। কুয়াশা কাটতে শুরু করলে একে একে ঘাট থেকে ফেরি ছাড়তে শুরু করে। একইভাবে পাটুরিয়া ঘাটে নোঙরে থাকা ফেরিগুলো দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে আসতে থাকে।

দেড় ঘণ্টার মতো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি বন্ধ থাকায় ঢাকাগামী শতাধিক যানবাহন নদী পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় আটকে থাকে। এর আগে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দুটি রো রো ফেরি এবং পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসা দুটি রো রো ও দুটি ইউটিলিটি ফেরি মাঝনদীতে এসে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে। এতে ছয়টি ফেরিতে ১৫০টির মতো যানবাহনের কয়েকশ যাত্রী দুর্ভোগে পড়ে।

রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জামান পরিবহনের বাসচালক মজিবর গাজী বলেন, ‘সকালে যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে এসে ফেরিতে ওঠার অপেক্ষা করতে থাকি। কিছুক্ষণের মধ্যে বাসটি ফেরিতে ওঠাই। হঠাৎ ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢেকে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ ফেরি ছাড়া বন্ধ করে দেয়।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আকস্মিক ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় তেমন প্রভাব না পড়লেও মাঝনদীতে থাকা ফেরিগুলো ঝুঁকিতে পড়েছিল। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া দুটি বড়, পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা দুটি বড় ও দুটি ছোট ফেরি মাঝনদীতে কুয়াশার কবলে পড়ে। মাঝনদীতে ঘন কুয়াশায় ফেরি আটকে পড়ার খবর পেয়ে উভয় ঘাট থেকে ফেরি ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।’