বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:০৯ পিএম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম
বোয়ালখালী উপজেলা ও নগরের চান্দগাঁও পাঁচলাইশ (আংশিক) এলাকা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসন। আসনটি জোটের সিদ্ধান্তের কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। ফলে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাকে সমর্থন জানাবে, এ বিষয়ে আছে সিদ্ধান্তহীনতায়।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে দ্বিধায় পড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ প্রার্থী। এর মধ্যে রয়েছেন ৮ জন দলীয় প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ ঘরানার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। জোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে জাপার প্রার্থী হলেন মো. সোলায়মান আলম শেঠ। এ ছাড়া নগর আওয়ামী লীগ কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও আওয়ামী ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে অনুষ্ঠিত গত উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের পক্ষে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়িয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান নোমান আল মাহমুদ। তাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বিভিন্ন সভা-সমাবেশে কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন। শেষতক তীরে এসে তরী হারান নোমান আল মাহমুদ।
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের বোয়ালখালী অংশে প্রচার-প্রচারণা খুব একটা দেখা যায়নি ১০ প্রার্থীর। এলাকায় নির্বাচনী আমেজ নেই বললেই চলে। উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়েও বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।
গত শুক্রবার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ সালামকে নিয়ে পশ্চিম গোমদণ্ডীতে প্রচারণায় অংশ নেন। অন্যদিকে গতকাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীর পক্ষে সভা করেন। এদিকে আরেক পক্ষ জানায়, নৌকা যেহেতু নেই জোটের প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠের পক্ষে শেষ পর্যন্ত কাজ করার দলীয় সিদ্ধান্ত আসবে। তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।
জোটের প্রার্থীর সঙ্গে এখনও আলাপ-আলোচনা হয়নি জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর জোটের প্রার্থীর কেউ একজন ফোন দিয়েছিলেন। এরপর আর কথা হয়নি। এক্ষেত্রে দলের হাইকামান্ড যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী নেতাকর্মীরা কাজ করবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের দুদিন পর উপজেলা সদরে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কেটলি প্রতীকের পোস্টার দেখা গেছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মো. আব্দুন নবীর মোমবাতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরীর ফুলকপি প্রতীকে ভোট চেয়ে মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অপর বিএনএফের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মহিবুর রহমান বুলবুল, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা, কল্যাণ পার্টির মো. ইলিয়াছ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, এনপিপির প্রার্থী মো. কামাল পাশার প্রচারণা বা পোস্টার দেখা যায়নি।