লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৪ এএম
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৬ এএম
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বোমা উদ্ধার করে। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুর সদরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বসতঘর ভাঙচুরের পর অস্ত্রের মুখে মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কড়ইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রের নাম সাইফুল ইসলাম। সে বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের ওমানপ্রবাসী জালাল উদ্দিনের ছেলে ও রমারখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র। সাইফুল ইসলাম নানাবাড়ি দত্তপাড়া ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামে বসবাস করত।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মাদ্রাসাছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পার হলেও সাইফুলকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। খবর পেয়ে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে ১৮-২০ জন লোক ঘটনাস্থল আসে। সবাই বন্দুকসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোমা ফাটিয়ে বসতঘর ভাঙচুর চালায় তারা। একপর্যায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে সাইফুলকে মারধর করে। পরে তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিলে সাইফুলের মা রোজিনা বেগম ও বোন ফারজানা আক্তারকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। ঘরে থাকা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাইফুলের বোনের কানের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় তারা।
রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী জালাল বালাইশপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে শ্রমিক ভিসায় ওমান নিয়েছিল। কিন্তু আনোয়ার পাঁচ মাসের মাথায় ওমান থেকে চলে আসে। ওমানে যাওয়ার সময় জালালকে দেওয়া টাকা সে ফেরত চায়। কিছুদিন পর পরই ওই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিত। ওই ব্যক্তিই সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে বন্দুক ঠেকিয়ে মারতে মারতে আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে। আমাকে ও আমার মেয়েকে মারধর করেছে।