ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:২৫ পিএম
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৯ পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গুমাণি নদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আসাদুল ইসলাম নামে একজনের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রূপসি পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায় ও ইউপি সদস্যের যোগসাজশে তিনি এ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
অবশ্য স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা সরেজমিনেও পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দেখা যায়, গুমাণি নদ ও পাউবোর জায়গা দখল করে আরসিসি পিলারের মাধ্যমে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে চলছে ঢালাইয়ের কাজ। পাশেই কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছেন একই গ্রামের মিন্টু আহমেদ ও ভাঙ্গাজোলা গ্রামের মজনু প্রামানিকসহ কয়েকজন। সড়কের কোল ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে মার্কেট, বসতভিটাসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা জানান, রূপসি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গুমাণি নদ ও পাউবোর বাঁধ। একসময় এই নদ ঘিরেই এখানকার বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। কিন্তু ক্রমেই নদের নাব্য সংকট, স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলের কারণে প্রশস্ততা কমে নদটি হারিয়ে ফেলেছে গতিপথ ও সৌন্দর্য।
নদী ও পরিবেশ রক্ষায় আইন রয়েছে। আইন অনুযায়ী কেউ নদী দখল করলে এক থেকে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর কেউ নদীর প্রবাহ বন্ধ করলে অন্য আইনেও শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ আইনের খুব একটা প্রয়োগ দেখা যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘আশপাশের অনেকেই আরসিসি করে পাকা ঘর করেছে। তাই আমিও মনি মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে ঘর করছি।’ তবে এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম মনির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনো কথা বলেতে রাজি হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত হোসেন বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে দ্রুত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাউবো পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।