কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৫০ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই। প্রবা ফটো
কুমিল্লার তিকাসে ডাকাতির টাকাপয়সা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামালকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। হত্যার ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন তিতাস উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের মো. নাজিম উদ্দীন ও রুমন ব্যাপারী ওরফে সুমন। হত্যাকাণ্ডের শিকার মোস্তফা কামাল তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মোস্তফা কামালকে। ঘটনার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় হত্যা মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে।
তদন্তে জানা যায়, নিহত মোস্তফা কামাল ও মামলার তিন আসামি সাইদুল, নাজিম উদ্দিন ও মো. মাইন উদ্দীন একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা আছে। কিছুদিন আগে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মোস্তফা কামালের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়। এর জেরে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দীন মোস্তফা কামালের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন।
১৮ ডিসেম্বর দুপুরে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলার সময় সাইদুল ও নাজিম উদ্দীন মিলে মোস্তফা কামালকে ঘাড়ে, মাথায় ও কপালে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আসামি নাজিম উদ্দীনকে ও রুমন ব্যাপারী সুমনকে চাঁদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, মো. নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া।