নজরুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৭ পিএম
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শত বছরের পুরোনো ব্যবহৃত চলাচলের পথ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে সেই পথে চলাচলকারী প্রায় ২০ পরিবারের শতাধিক মানুষ। এর ফলে ভুক্তভোগীরা অন্যের বাড়ির বাগান ও জঙ্গল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। উপজেলার ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তটি ব্যবহার করেন দুলাল মিজি। পরে ভুক্তভোগীরা ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার অভিযোগ করার পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অন্যদের উপস্থিতিতে একাধিকবার সালিশিও হয়। তারপরও পথ থেকে বাধা সরাননি দুলাল মিয়া। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাদের।
ভুক্তভোগী নুরুজ্জামান, আফছার উদ্দিন, হাজেরা বেগম, শাহজাহান মোল্লা, আক্কাস ঢালী প্রমুখ বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করেছে। রাস্তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পথ না থাকায় আমরা সবাই মিলে তাদের থেকে চাঁদা তুলে ২ শতক জমি ক্রয় করি। কিন্তু দুলাল মিয়া ওই জায়গাতেও জোর করে ঘর তুলে বন্ধ করে দিয়েছে।
তারা আরও বলেন, রাস্তা না থাকায় আমাদের বিয়েশাদি দিতেও বেগ পেতে হচ্ছে। একজন মানুষ মারা গেলে মসজিদ থেকে খাটিয়া আনার পথটুকুও নেই। জুমার দিন মসজিদে নামাজ পড়তে গেলেও অনেক বাড়ি ডিঙিয়ে মসজিদে যেতে হয়। এমনকি আত্মীয়স্বজনদেরও বাধাগ্রস্ত করে তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা পারভীন জানান, দুলাল মিজি যদি জায়গা পায় তাহলে অন্য দিক দিয়ে নিতে পারে, কিন্তু ওদের পথ আটকানোর কী আছে। অভিযুক্ত দুলাল মিজি বলেন, এই রাস্তা দিয়ে তারা বহু বছর চলাফেরা করেছে এটা ঠিক। আমরা তাদের বাধা দেই নাই। কিন্তু এইদিক দিয়ে কোনো সরকারি রাস্তা নাই। পথের জন্য আপনাদের শরিক থেকে জায়গা কিনেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জমি আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। তারা কার কাছ থেকে জায়গা কিনেছে জানি না। যার কাছ থেকে কিনেছে তারা তার কাছ থেকে জায়গা বুঝে নিবে।
ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, এই রাস্তা নিয়ে অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদে বসা হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবে দুলাল মিয়া রাস্তা দিতে রাজি হয়নি। এএসআই আমজাদ বলেন, আমি অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দুলাল মিয়াকে বলেছি, রাস্তা খুলে দিতে, কিন্তু সে রাজি হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে তো আমাদের কিছু করারও নেই।