বিড়ালে মাছ খেয়ে ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে তিনজনকে কুপিয়ে জখম

বরিশাল নগরীতে বিড়ালের মাছ খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর ধান গবেষণা রোডের একটি ভাড়াবাসায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলো—ওই এলাকার রাজিয়া ম্যানসনের ভাড়াটিয়া মহানগর পুলিশের (বিএমপি) নায়েক আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল-আমিন ও আরাফাত এবং তাদের বন্ধু একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলীমের ছেলে মো. মুন্না। 

নায়েক আব্দুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, তাদের পোষা বিড়াল অপর ভাড়াটিয়া তুহিনের একটি জাটকা মাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে তুহিন ও তার স্ত্রী তায়েবা ক্ষুদ্ধ হন। মাছ খাওয়ায় তার স্ত্রী সেলিনা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। একপর্যায়ে তুহিন দম্পতি তার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। সে চিৎকার দিলে দুই ছেলে ও বন্ধু মুন্না বের হয়।

সেলিনাকে ধাক্কা দেওয়া নিয়ে তুহিনের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তুহিনের স্ত্রী তায়েবা এসে আরাফাতকে বটি দিয়ে কোপ দেয়। মুন্না তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তার হাতে কোপ দিয়ে জখম করে। তাকে রক্ষায় আল-আমিন এগিয়ে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

নায়েক আব্দুর রহমান আরও জানান, এ ঘটনায় সেলিনা কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

রাজিয়া ম্যানসনের মালিক মাইনুল ইসলাম সজল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘জাটকা ইলিশ বিড়ালে খেয়ে ফেলা নিয়ে দুই ভাড়াটিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পুলিশ তুহিন ও তার স্ত্রীকে আটক করেছে। আমি দুই পক্ষকে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছি।’ 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’