বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪০ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৭ পিএম
বছরের প্রথম দিন নতুন বই পাওয়ায় শিশু আনন্দিত। ছবিটি সোমবার বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল থেখে তোলা। প্রবা ফটো
‘মা, স্যার বলেছিলেন নতুন বইয়ের গন্ধ আছে। সেই গন্ধটা কেমন মা। তুমি তাড়াতাড়ি বাঁধনটা খুলে দাও আমি গন্ধ নেব।’ মঞ্চে অতিথিদের কাছ থেকে দড়ি দিয়ে বাঁধা বইগুলো পাওয়ার পর সেগুলো খুলে দেখানোর জন্য এভাবেই মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল নীলাক্ষী নেহা। বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নেহা এবার বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত বিষয়ক ৩টি বই পেয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম দিন সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত বই উৎসবে নেহার মত প্রাথমিক স্তরের ২ হাজার ৩৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার সরকারের অতিরিক্ত সচিব ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বই বিতরণের আগে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে ড. দেওয়া মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণির ধনী এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়। তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই এমনকি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পোষাকও দিয়েছিলেন। তিনি বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষাা খাতেই রেখেছিলেন।
বই উৎসব অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, বিয়াম ফাউন্ডেশনের বগুড়া আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক মোহা. আব্দুর রফিক এবং বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী।
বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, একই দিন দুপুরে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ২ হজার ১৫৮ জন শিক্ষার্থীকে বই তুলে দেওয়া হয়।
জেলা শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম দিন বই উৎসবে বগুড়ার ২ হাজার ৪৯৫টি প্রাথমিক এবং ৭৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যের বই বিতরণ করা হয়।
তবে এবার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা বইয়ের কাগজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজে মেয়ের জন্য বই নিতে আসা আসিফ আহম্মেদ নামে এক অভিভাববক বলেন, ‘এবারের বইয়ের কাগজের মান খুবই খারাপ। যে কারণে ছাপাও খুব একটা ভাল হয়নি। তাছাড়া বই খুললেই কেরোসিনের উৎকট গন্ধ এসে নাকে লাগছে।’