বগুড়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

বগুড়ায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগবালাই। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশু ও বয়স্করা।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বগুড়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম জানান, বগুড়ার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।

শীতে বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও সাধারণ মানুষ।

রিকশাচালক শামসুল মোল্লা বলেন, ‘দুই দিন ধরে শীতের মাত্রা বেড়েছে। আমরা সকালে কোনো ভাড়াই পাই না। লোকজন খুব কম। রিকশা ভাড়া দেওয়াসহ পরিবারের লোকজনের দিকে তাকিয়েই বের হইছি।’

নামাজগড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দিনমজুর রাসেল শেখ বলেন, ‘এমনিতেই দিন ছোট তার সঙ্গে আবার সেই ঠান্ডা। কালকেও কাজ পাইনি। আজ যে কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।’

এদিকে শীতের তীব্রতার সঙ্গে হাসপাতালে বেড়েছে রোগী। বেশিরভাগই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, ‘হাসপাতালে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। শিশুদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, জ্বর, কাশি ও চর্ম রোগীর সংখ্যা বেশি। শীতে সতর্ক না হলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’