মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা, গ্রেপ্তার ৩

বরিশাল-২ আসনের বানারীপাড়ায় নির্বাচনী মিছিলে হামলা চালিয়ে ১৬টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার তিনজন হলো—সাইজুদ্দিন, মিরাজ ও মন্টু। তারা তিনজনই স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী।

বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নৌকার সমর্থকের করা মামলায় স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 

ওসি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাইশারী কলেজ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ফাইয়াজুল হক রাজুর কর্মীদের সঙ্গে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় ১২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং চারটি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। রাতে দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। তাদের অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু হয়। পুলিশ অভিযোগ তদন্ত করছে। ঘটনার পর নৌকার সমর্থকের করা মামলায় স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 

স্বতন্ত্র প্রার্থীর একে ফাইয়াজুল হক রাজুর মেয়ে তাহরিন হক বাদী হয়ে একটি এবং নৌকার সমর্থক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। তাহরিন হকের মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে আমিনুল ইসলামের মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ থেকে ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, ‘হামলায় আমার ৪০জন কর্মী আহত হয়েছে।’ 

অপরদিকে বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হামলায় নৌকা প্রতীকের নয়জন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’