নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৬ পিএম
হামলায় আহত নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক। প্রবা ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষ গ্রুপের যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী জুয়েল। তিনি বলেন, হামলার কথা ডাহা মিথ্যা কথা।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে তার গ্রামের বাড়িতে সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে নবীনগরে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন তিনি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাদেকের গ্রামের বিক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষজনই এ হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট চলাকালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক সকাল ১০টার দিকে ভোট দিতে বাশারুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে যান। এসময় সাদেকের সঙ্গে থাকা তার ২০/৩০ জন অনুসারী ভোটকেন্দ্রে মোবাইলের মাধ্যমে ফেসবুকে কেন্দ্রের দৃশ্য লাইভে দেখাচ্ছিলেন। ওইসময় লাইভ না দেখাতে সাদেকের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ভোট দিয়ে সাদেক বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তার উপর হামলা চালায়। এতে সাদেকের মাথা, চোখের নীচে ও সারা শরীরের বিভিন্ন অংশে বেপরোয়া লাঠির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়। তাকে উদ্ধার অবস্থায় নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান বলেন, ওনার (সাদেক) মাথা, চোখের নীচে ৮/১০টি সেলাই লেগেছে। এছাড়া লাঠির আঘাতে সারা শরীরেও জখম হয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমরা ঢাকায় রেফার করেছি।
জেলা পরিষদ সদস্য নাছির উদ্দিন বলেন,সাদেকের নিজ ইউনিয়ন লাউর ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী জুয়েল ও তার বড় ভাই শওকত আলীর নেতৃত্বে এ ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
যুবলীগ নেতা লিয়াকত আলী জুয়েল এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা। মূলত হামলা হয়েছে রাস্তায়। তখন আমি ও আমার ভাই কেন্দ্রের ভেতরে নির্বাচন নিয়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। সুষ্ঠু তদন্ত হলেই এমন মিথ্যে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যাবে না।