× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কুষ্টিয়া-২

দুই কারণে ইনুর হার

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:৫৬ এএম

আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২০ এএম

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ফাইল ছবি

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ফাইল ছবি

নির্বাচনের কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুষ্টিয়ার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় বলেছিলেন, ‘ইনু ভাই আমাদের নৌকায় উঠেছেন। খেয়াল রাখবেন, তিনি যেন নৌকা থেকে দোল খেয়ে পড়ে না যান।’ তবে শেষ রক্ষা হয়নি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর। 

কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসন থেকে পরপর তিনবারের বিজয়ী সংসদ সদস্য ইনু এবার ভোটে হেরে গেছেন। তার আসনে জয় পেয়েছেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে নির্বাচনে লড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিরোধ ও সাংগঠনিক দুর্বলতা- এ দুটি কারণে ইনুর পরাজয় বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতি সচেতন মানুষ।

এবারের নির্বাচনে ইনু ভোট পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪৪৫। আর বিজয়ী কামারুল আরেফিন পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ ভোট। অথচ গত নির্বাচনে ইনু এখানে দুই লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত পারেননি দলের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তার বদলে ওই আসনে হাসানুল হক ইনু জোটের প্রার্থী হয়ে প্রথমবারের মতো এমপি হন। সেই থেকে সেখানে আওয়ামী লীগ-জাসদ দ্বন্দ্বের শুরু।

এ আসন থেকে নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয় পান ইনু। তবে গত ১৫ বছরে কুষ্টিয়া-২ আসনে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী-জাসদের সমর্থকরা বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছেন, ঝরেছে রক্ত। এতে প্রাণ গেছে অন্তত চারজনের। আর উভয় দলের নেতাদের মধ্যে বাকযুদ্ধ, রেষারেষি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। এমনই প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর হাসানুল হক ইনু মিরপুর ফুটবল মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘কারও দয়ায় মন্ত্রী হইনি (সেসময় তিনি তথ্যমন্ত্রী ছিলেন)। ঐক্য প্রশ্নে এক টাকা চেনেন, ১০০ পয়সায় এক টাকা। আপনার ৮০ পয়সা থাকতে পারে, কিন্তু আপনি এক টাকার মালিক না। আপনি ৮০ পয়সা আর রাশেদ খান মেনন, দিলীপ বড়ুয়া, এরশাদ ও হাসানুল হক মিলে এক টাকা হয়। আমরা যদি না থাকি, তাহলে ৮০ পয়সা নিয়ে রাস্তায় ফ্যা ফ্যা করে ঘুরবেন, হাজার বছরেও ক্ষমতার মুখ দেখবেন না।’ 

ওই বক্তব্যে সেসময় ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সেই ক্ষত আজও শুকায়নি। জাসদ-আওয়ামী লীগের এই বিরোধ ইনুর পরাজয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। পাশাপাশি গত ১৫ বছর সংসদ সদস্য থাকলেও তিনি তার নিজ এলাকা মিরপুর-ভেড়ামারায় জাসদকে সেভাবে সংগঠিত করতে পারেননি। অন্যদিকে, এবারের বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের দলে গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। এর ফলে হাসানুল হক ইনুকে এবার পরাজয় বরণ করতে হলো বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

ভোটে হেরে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘জনগণের রায় মেনে নিয়েছি। দলগতভাবে আলোচনা করে পরবর্তী বিষয়ে আমাদের করণীয় ঠিক করব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা