চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:২৩ পিএম
গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক মাছ চাষির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে চিংড়িজোন খ্যাত সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর মৌজার রামপুর সমিতির জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওই ব্যক্তির নাম- মোহাম্মদ হোসেন। তিনি মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছনখোলা পাড়ার বাসিন্দা।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব উর রাজাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত হত্যার কারণ নির্ণয়ে চেষ্টা চালাই। এখনও হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত এজাহার দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নিহতের ছোট ভাই আবুল কাশেম বলেন, আমার বড় ভাই রামপুর সমিতির ৪৮ একর চিংড়ি ও লবণ মাঠ এলাকার মধ্যে খামার ঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মঙ্গলবার রাতে বদরখালীর আজগর নামে এক ব্যক্তি আমার ভাইকে নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে পরিত্যক্ত জমিতে ডেকে নিয়ে যান। বুধবার সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ফোন করলে এক কিশোর ফোন রিসিভ করে জানায় আপনারা তাড়াতাড়ি রামপুরের ঘরের নিকটবর্তী মাঠে চলে আসুন, যাকে ফোন করেছেন তিনি মাটিতে পড়ে রয়েছে। এ কথা শুনে ছুটে যাই আমরা। মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক জানান, বদরখালীর আজগরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য পাওয়া যাতে পারে। এছাড়া হত্যার পেছনে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নামও বলে তারা। তাদের মতে মৎস্য বিভাগের ৪৮ একর জমি উচ্চতর আদালত থেকে রামপুর সমিতির অনুকূলে রায় পায়। এর পরও চিংড়ি ও লবণ উৎপাদনের লাভজনক এই জমির দিকে নজর ছিল অনেকের। একাধিক বার দখল-বেখলও হয় এ জমি। জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জমির বাধে বসবাস করা লোকজন (রামপুর সমিতির সদস্য) জমিটি দখলে নিতে খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে এক ব্যক্তির মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। মরদেহের পেছনে কোমরের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আলামত খোঁজে পাওয়া যায়। পরে মরদেহ থানায় নিয়ে আসি।