নারায়ণগঞ্জ বারের নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নির্বাচন পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন এবং তিন সদস্যের আপিল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন। এজিএম শেষে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তিও হয়েছে। 

এর আগে এজিএম ৩০ জানুয়ারির নির্বাচন পরিচালনার জন্য সামসুল ইসলাম ভূইয়াকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করা হয়। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশরাফ হোসেন, আবদুর রহিম, মেরিনা বেগম ও সুখচাঁদ সরকারকে। আপিল বোর্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন ইমদাদুল হক তারাজুদ্দিন, এড. নুরুল হুদা এবং এড. হুমায়ুন কবির।

এজিম শেষে নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে আদালত চত্বরে মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। একই সময়ে এজিএম বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা নবগঠিত নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের দলীয় কমিশন আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানান। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারিও দেন তারা। বার ভবনের সামনে বিএনপিপন্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশে চলার সময় আওয়ামীপন্থীরা মিছিরল নিয়ে সেখানে এলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সেখান থেকে মূল ফটকের সামনে এসে সমাবেশ করেন। 

এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাকে আওয়ামীলীগ প্রহসনে পরিনত করেছে। সভায় তারা কাউকে কথা বলতে সুযোগ দেয়নি। সম্পূর্ন একতরফাভাবে নিজেদের দলীয় লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আমরা এই দলীয় নির্বাচন কমিশন মানি না। অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।