চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩১ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৭ পিএম
আহত আরমানুলকে দেখতে ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। প্রবা ফটো
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী ও যুবলীগ নেতা আরমানুল ইসলামের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে আহত আরমানুলকে দেখতে ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যান তিনি। তিনি গুলিবিদ্ধ আরমানের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরমানুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হোসেন নগর গ্রামের বাসিন্দা আরমানুল। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় ক্ষীপ্ত হয়ে ৭ জানুয়ারি রাতে বাড়িতে ঢুকে আরমানুলকে গুলি ছুড়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবের কর্মীরা। এতে আরমানুলের চোখে ও মুখে গুলি লাগে। তাকে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরে ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতে পাঠানো হবে।
আরমানুলের ভাই মোহাম্মদ হাছান বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে আমরা পুরো পরিবার নৌকা পক্ষের কাজ করেছি। আমার ভাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট ছিল। ভোট শেষ করে রাতে আমরা বাড়িতে আসি। আমরা সবাই বাড়িতে ছিলাম। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় ঈগল প্রতীকের অনুসারীরা বাড়িতে এসে আরমানুলকে গুলি করে। আমার বাড়ির পাশের জয়নাল। সে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর লোক। তার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন এ হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথমে সাতকানিয়া হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে রেফার্ড করেছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ভাইকে কল দিয়েছি। উনি বলার পর সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম হাসপাতালে সিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ওখান থেকে ঢাকায় রেফার্ড করে। তিনি চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তির পর থেকে প্রতিদিন নিজে এসে আরমানের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আজ বিকালেও এসে দেখে গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের শংকর নেত্রালয় হাসপাতাল থেকে এ্যাপয়নমেন্ট নিয়ে দিয়েছেন তিনি। আমাদের পাসপোর্টও রিনিউ করে দিয়েছেন। এখন ভিসা পেলেই চলে আমরা ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা হব।’