দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫১ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:০০ পিএম
দৌলতপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুন। সংগৃহীত ছবি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক মাদক কারবারির কাছ থেকে ১৮০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের পরে মামলা না দিয়ে গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দৌলতপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হুমায়ুনের বিরুদ্ধে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই মাদক কারবারি জানান, গত ৬ জানুয়ারি রাতে ২৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ মথুরাপুর স্কুল বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে মোটরসাইকেলযোগে বের হন তিনি। পথে ধর্মদহ-কাজিপুর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে একজন পুলিশ ও তিনজন মিলে তার কাছ থেকে ১৮০ বোতল ফেনসিডিল কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, ‘এ সময় আমি ৭০ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে পালিয়ে যাই। পরে জানতে পারি পুলিশের যিনি ছিলেন তিনি এএসই হুমায়ুন। ফেনসিডিল গেছে তাতে সমস্যা নাই, আমার নামে মামলা হয় নাই এটাই অনেক।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা ওই দিন রাত আনুমানিক ৯টার সময় এসআই হুমায়ুনকে উপজেলার নাটনাপাড়া বাজার থেকে বেতবাড়িয়া ব্রিজে দিকে যেতে দেখেছেন।
এলাকাবাসী জানান, উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল আল্লারদর্গা এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন একই থানায় থাকার সুবাদে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হুমায়ুনের সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। অতিতেও তার বিরুদ্ধে মাদক উদ্ধার করে বিক্রি করার কথা শুনেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন বলেন, ‘৬ তারিখে আমি ব্যালট পেপার নিয়ে দূর্গম এলাকা চিলমারীর চরে ছিলাম। সেখানে অবস্থিত বিজিবি ক্যাম্পে রাত্রিযাপন করেছি। মোবাইল টিম-১৭ এর হুমায়ুন কবির ছিল আমার ইনচার্জ। তাহলে আমার দ্বারা কি করে এ কাজটা সম্ভব! আমাকে পোস্টিং করানোর জন্য বা হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য থানার কেউ দোষ দিচ্ছে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মোবাইল টিম-১৭ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সহকারী উপ-পরিদর্শক হুমায়ুনের ইনচার্জ পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি রাতে এএসআই হুমায়ুন আমার সাথে ডিউটিতে ছিল। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন কাজে সে থানায় গিয়েছিল।’
বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা আমাদের জানা নেই। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’