দিনাজপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:৫৬ এএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫৬ পিএম
দিনাজপুরে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। প্রবা ফটো
ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে দিনাজপুর। বিপর্যস্ত জনজীবন ও প্রাণিকুল। পৌষ মাসের শেষ প্রান্তে হিমালয়ের পাদদেশের সীমান্তঘেঁষা জেলা দিনাজপুরের মানুষের জবুথবু অবস্থা।
রবিবার (১৩ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আজ তাপামাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে; যা দেশের সর্বনিম্ন এবং জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জেলার ওপর দিয়ে। তবে শীত কমে ১৮ বা ১৯ জানুয়ারি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।’
তীব্র শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া তেমন একটা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না মানুষজন। সড়কে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় এবং কাজ না পাওয়ায় রোজগার কমেছে শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষের। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।
দিনাজপুরের শ্রমবাজার ষষ্টিতলায় কাজের সন্ধানে অপেক্ষমাণ বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বাহোইল গ্রামের শাহজাহান আলী বলেন, ‘ঠান্ডাত অবস্থা কাহিল খুবই কাহিল বাপু। কাম-কাইজ নাই। বসি আছি। পেটের তাগিদে বাহির হইছি। পাইসা-কড়ি না থাকায় এইবার গরম কাপড় কি না হইনি। খুব কষ্টে দিন কাটেছে বাপু। পারলে এগনা কম্বল-টম্বল দিয়া সাহায্য করেন।'
কাজের সন্ধানে আরেক অপেক্ষমাণ নারী নির্মাণ শ্রমিক শহরের হঠাৎপাড়া এলাকার মোহেচেনা বেগম বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে ঠিকমতো কামকাইজও করা যায় না। কাম না করিলে টাকা দিবে কে? গরিব মানুষের বাঁচার উপায় নাই। যে তরিতরকারির দাম।কাছেই ভিড়া যায় না। খাবো, না গরম কাপড় কিনব? এই শীতে কেমন করে বাঁচব আল্লাহই জানে।’
তীব্র শীতের কারণে কাহিল অবস্থা শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষের। শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এ জন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।