কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২০ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৩ পিএম
কক্সবাজারের কলাতলী সী-পাল নামে একটি আবাসিক হোটেলে বিয়ের আয়োজন করা হয়। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের কলাতলী সী-পাল নামে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা তরুণীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর বিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় বর-কনেসহ বিভিন্ন ক্যাম্পের প্রায় ৬৩ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করা হয়।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের লাইট হাউজ এলাকায় আবাসিক হোটেল সী পার্ল-২ তে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৬৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিক এবং ১৯ জন বিদেশি নাগরিককে পাওয়া যায়। জব্দ করা হয় মেজবান আয়োজনের উপকরণও। স্থানীয়রা জানিয়ে ছিল, রোহিঙ্গা দুই তরুণীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান দুই নাগরিকের বিয়ে উপলক্ষে এই মেজবানের আয়োজন ছিল।
আটক বিদেশিদের মধ্যে বর হিসেবে দাবি করা দুজন হলেন-আব্দুল হামিদ ও মোহাম্মদ ইলিয়াছ। দুজনই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বংশোদ্ভুদ অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তাদের আত্মীয়স্বজনরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস করে। কনে হিসেবে দাবি করা খতিজা বেগম ও হাসিনা আক্তার উখিয়া উপজেলা বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
হোটেলটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিদেশি ১৯ জন নাগরিক গত ১ মাস ধরে হোটেল অবস্থান করছেন। রবিবার হোটেলে আসার পর দেখতে পান ওইসব রোহিঙ্গারা খাবারের আয়োজন করেছেন।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ১২ জন রোহিঙ্গা বংশোদ্ভুদ অস্ট্রেলিয়ান এবং ৭ জন আমেরিকান নাগরিক। এছাড়া বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে একজন জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ান। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বিদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট জব্দ করে কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে। এরপর তারা হোটেলেই অবস্থান করছে। তবে নজরধারীতে রাখা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গাদের পুলিশ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের মাধ্যমে ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, হোটেলটির ম্যানেজারসহ কর্মচারীরা অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং বিদেশি নাগরিকদের অবস্থানের ব্যাপারে পুলিশকে জানাননি। হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশ দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’