লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৫৭ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আটকের পর আসামি আবদুর রহিম রনিকে মারধরের অভিযোগে সাত পুলিশ সদস্যের নামে করা মামলায় আদালতে এসপির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন বাদী। এতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী কার্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি (রায়পুর) আদালতের বিচারক মো. বেলায়েত হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার নুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের জন্য ২৭ ডিসেম্বর আদালত লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেন। তখন তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এসপির দেওয়া প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করলে বাদী এর বিরুদ্ধে নারাজি দেন। এতে আদালত পুনরায় মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল পাটওয়ারী বলেন, ‘মামলাটি সম্পূর্ণ তদন্ত হয়েছে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে। তারা অভিযুক্তদের বাঁচানোর জন্য সব ধরনের বিষয় এনে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এজন্যই পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেওয়া হয়েছে।’
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের বর্ডার বাজার রায়পুর-চাঁদপুর সড়ক থেকে অভিযুক্তরা রনিকে আটক করে। তখন তার সঙ্গে গরু বিক্রির ৯০ হাজার টাকা ছিল। ওই টাকা অভিযুক্তরা নিয়ে গেছে। পরে তাকে নিয়ে এসে মারধর করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছে। আটকের খবর পেয়ে রনির স্ত্রী রায়পুর থানায় বারবার গেলেও স্বামীর সন্ধান পাননি। পরে রায়পুর থানায় গেলে সেখানে রনির মোটরসাইকেল দেখতে পান। তিনি এসআই হানিফকে ফোন করে স্বামীর সন্ধান চান। হানিফ তার স্বামীকে ছাড়তে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এত টাকা নেই বললে রনিকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, ১৮ ডিসেম্বর ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রনিসহ দুজনকে একনলা বন্দুক, দুটি কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্র, ১৮০টি ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।