সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:২৩ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:০৭ পিএম
প্রতীকী ছবি।
লিবিয়ায় অপহরণের পর বাংলাদেশে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে অপহরণচক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ফেনীর সোনাগাজী থানার পুলিশ। মামলার পর টাকা পাঠানোর তথ্য উদ্ধার করে তাকে শনাক্ত করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, সোনাগাজী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ আলম লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। এক মাস আগে তাকে অপহরণ করে বাংলাদেশের একদল লোক। তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে অপহরণকারীদের দাবির মুখে মোরশেদ আলমের স্ত্রী জাহানারা বেগম দেশে বিকাশের মাধ্যমে কয়েক দফায় দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এরপর মোরশেদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে তারা আরও টাকার দাবিতে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় জাহানারা ৮ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম সরকার বলেন, ‘পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ইমু নম্বর ও ব্যাংকে টাকা পাঠানোর হিসাব নম্বরের মালিকদের শনাক্তে চেষ্টা শুরু করে। টাকা পাঠানো ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দুটি হিসাব নম্বরের লোকদের নাম-ঠিকানা ও হিসাব নম্বরে থাকা মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আল-আমিন নামে একজনের অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার গুলিস্তান এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন অপহরণকারীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। বুধবার তাকে ফেনীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল-আমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমি লিবিয়ায় অবস্থানরত অপহরণকারীদের সঙ্গে বাদীর উপস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই। পরে অপহরণকারীরা মোরশেদকে ছেড়ে দেয়।’
সোনাগাজী থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, ‘আল-আমিনকে বুধবার আদালতের আদেশে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে।’