টাঙ্গাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫১ পিএম
ভূঞাপুরে গোবিন্দদাসী নৌ-ঘাটে নোঙর করে রাখা জরাজীর্ণ জেটি। প্রবা ফটো
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নৌ-ঘাটে নোঙর করে রাখা জেটিটি এখন মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের নিরাপদ আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা হলেই এখানে শুরু হয় মাদকসেবীদের আড্ডাখানা, চলে জুয়ার আসর। স্থানীয়দের অভিযোগ অবাধে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রকাশ্যে চললেও তা বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সহ সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় চিতুলিয়া পাড়া, পূর্ণবাসন, খানুরবাড়ী, কষ্টাপাড়ার একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রায় দেড় মাস আগে আরিচা ঘাট থেকে নিয়ে আসা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনের একটি জেটি উপজেলা গোবিন্দাসী নৌ-ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। যথাযথ ব্যবহারের অভাবে এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।স্থানীয় কিছু মাদকসেবী এ সুযোগে সংঘবদ্ধ হয়ে অবাধে এ জেটির যাত্রী ছাউনিতে প্রতিদিন মাদক সেবন ও জুয়ার আসর বসিয়ে আসছে।
স্থানীয় গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলীয়া পাড়ার বাসিন্দা নূর হোসেন বলেন, গ্রামে ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় আছে। যেখানে এলাকার কয়েকশ শিশু-কিশোর পড়ালেখা করে। দিনের বেলায় জেটির ভিতরে এদের মধ্যে উঠতি বয়সি কিছু বখাটে কিশোর-শিক্ষার্থী ধূমপানের আসর বসায়। সন্ধ্যার পর স্থানীয় কিছু যুবক বখাটের চলে মাদক ও জুয়ার আসর। এদের ভয়ে জেটির আশপাশের গ্রামের কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। প্রতিবাদ করলেই তেড়ে আসে তারা। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
খানুরবাড়ীর বাসিন্দা হাসান বলেন, ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের আগে গোবিন্দাসী নৌ-ঘাট ও সিরাজগঞ্জ সদরের মতিন মিয়ার নৌ-ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের মানুষ ও যানবাহন লঞ্চ ও ফেরিযোগে পারাপার হতো। এখন সেই কর্মব্যস্ততা নেই।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চাকদার বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে এই জেটিটি কে বা কারা এনেছে জানা নেই। তবে মাদকের বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করা হবে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ্ বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) থেকে এটি হয়তো রাখা হয়েছে। এটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে জরাজীর্ণ জেটিতে বখাটেদের মাদক সেবনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যেহেতু বিষয়টি আপনার কাছে জানতে পারলাম দ্রুতই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে নৌ-পুলিশের বক্তব্য জানতে ভূঞাপুর গোবিন্দাসী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) কামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।