মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৪ পিএম
আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৯ পিএম
অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র মো. নিদানুর ইসলাম লাবিবকে অপহরণের ২৮ দিন পর উদ্ধার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে অপহরণ চক্রের হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন—চক্রের হোতা বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার নয়াপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ এবং কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নেওয়া গ্রামের মো. রাসেল।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মো. আশরাফুল কবির প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘নিদারুল ইসলাম লাবিব ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ডাংরা গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলাম লিটনের ছেলে। পড়াশোনার জন্য লাবিব ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা কিশোরগঞ্জ শহরের রথখলা এলাকায় বসবাস করেন। লাবিব নগুয়া এলাকার হেফজুল আরকাম হাফিজিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।’
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত বছরের ২২ ডিসেম্বর বিকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয় লাবিব। রাতে মাদ্রাসায় না যাওয়ায় মাদ্রাসার শিক্ষক লাবিবের মা লুৎফা বেগমকে বিষয়টি জানান। পরে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসাসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে অপহরণ মামলা করেন লুৎফা বেগম। বিষয়টি র্যাবকে জানানো হলে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র্যাব।’
আশরাফুল কবির বলেন, ‘অপহরণের পর লাবিবের মায়ের কাছে অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে আট লাখ টাকা দাবি করে। তারা লাবিবকে নিয়ে চট্টগ্রাম, ঢাকা, ভৈরব, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করেন। আর এ কারণে তাদের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। অপরদিকে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণের টাকা না দিলে হত্যা করা হবে বলে ভয় দেখাতে থাকেন তারা।’
র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘নিরুপায় হয়ে লাবিবের পরিবার মুক্তিপণ হিসেবে শনিবার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের ২৮ হাজার টাকা পাঠায়। এরই সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ র্যাব-১৪ ও র্যাব-৯-এর যৌথ অভিযানে শনিবার রাতেই সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানার ভার্সখোলা এলাকা থেকে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।‘
এ সময় লাবিবকে উদ্ধারের পাশাপাশি মুক্তিপণের টাকা, দুটি মোবাইল ফোনসহ পাঁচটি সিম উদ্ধার করা হয়। তাদের কিশোরগঞ্জ মডেল থানার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।