চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৫০ পিএম
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রবা ফটো
যত্রতত্র কেজি স্কুল ও কওমি মাদ্রাসার খোলাকে নিরুৎসাহিত
করতে জনপ্রতিনিধিদের কঠোর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মনিটরিংটা করতে হবে। খোলার শুরুতেই,
যখন উদ্যোক্তারা আপনাদের কাছে যাবেন, তখনই আপনারা তাদের নিরুৎসাহিত করবেন। আপনি মাদ্রাসা
খুলছেন, কিন্ডারগার্টেন খুলছেন, আপনি কে, আপনার ডিটেইলসটা কী, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড
কী, জানতে চাইবেন অবশ্যই। রাতারাতি ফ্লোর ভাড়া করে শুরু করে দেওয়া হলো, এভাবে তো চলতে
পারে না।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে
জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব
কথা বলেন তিনি। বাঁশখালী উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মতো যততত্র মাদ্রাসা হচ্ছে;
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা
বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে কী পরিমাণ নূরানি মাদ্রাসা
অনুমোদন দিয়েছে, সেটির তথ্য চেয়েছি। অনেকগুলোর অনুমোদনও নেই। কিন্তু চালিয়ে নিচ্ছে,
চলছে। ভিক্ষাবৃত্তির কাজে লাগিয়ে দিচ্ছে কিছু শিশুকে। এবতেদায়ি মাদ্রাসা কিংবা কিন্ডারগার্টেন
স্কুল-এগুলো খোলার আগে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এটা
ওরা নেয় না। সামাজিক বাস্তবতায় একটা বিদ্যালয় চালু হয়ে যাওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়াটা
অনেক চ্যালেঞ্জিং। খুলে দেওয়ার পরে, কাগজপত্র যদি না-ও থাকে, তবুও একটা সোশ্যাল প্রেসার
তৈরি হয় যে, এই বাচ্চাগুলো কোথায় যাবে।
ধর্মীয় শিক্ষার জন্য শিশুদের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসায়
পাঠানো আহ্বান জানান মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সরকারি সিলেবাস
দ্বারা পরিচালিত আলিয়া মাদ্রাসা আছে। সেখানে ন্যাশনাল কারিকুলাম পড়ানো হয়। বিশেষায়িত
তিনটা সাবজেক্টও পড়ানো হচ্ছে। সুতরাং আলিয়া মাদ্রাসা থাকতে কেন আমরা যততত্র নূরানি
মাদ্রাসা খুলব। কেউ যদি পড়তে চায়, সে আলিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে পড়বে। হেফজ পড়ানোর নামে
মাদ্রাসা খোলা হয়, কিন্তু সেটা রেগুলার স্কুলিংয়ের বাইরে বৈকালিক বিদ্যালয় হয়ে যায়।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম, মূল্যায়ন পদ্ধতিটা
এবছর থেকে শুরু হয়েছে মাত্র। এখনো এক মাসও হয়নি। কিন্তু শুরু হওয়ার আগেই আলোচনা-সমালোচনা
ও অপপ্রচার। পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর আগেই ব্যাপক অপপ্রচার শুরু হয়েছিল। এখনও তো ক্লাসই
সেভাবে শুরু হয়নি। অন্য দেশের ভিডিও জোড়াতালি দিয়ে কন্টেন্ট বানানো হয়েছে।’
সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুছ ছালাম ও এম এ মোতালেবসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ বক্তব্য রাখেন।