ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৫ পিএম
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০৮ পিএম
স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তান বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন চাঁদপুরের নয়ন বেগম নামে এক নারী। দুই সপ্তাহ আগে জেলার ফরিদগঞ্জ থানায় এই অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। স্বামী ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসারা গ্রামের মুন্সীবাড়ির আব্বাস মুন্সীর ছেলে ইকবাল মুন্সী। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করেন স্বামী। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় গত ১৬ ডিসেম্বর জোরপূর্বক করে তালাকনামাসহ ১০০ টাকা সমমূল্যের তিনটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন গ্রামের সালিশকারীরা। সে সময় তার ৯ মাস বয়সি মেয়েকে জোর করে ছিনিয়ে নেন ইকবাল মুন্সী।
নয়ন বেগম বলেন, ‘পরে জেনেছি আমার মেয়েকে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক গ্রামে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন ইকবাল মুন্সী। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। তা নাহলে বেঁচে থেকে লাভ কী?’
এ বিষয়ে নয়ন বেগমের স্বামী ইকবাল মুন্সী বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে তালাক হয়ে গেছে। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুমন, মাতবর আশু, জামাল, আবু তাহের, ফারুক হোসেন ও বাবুলের উপস্থিতিতে তালাকের পর সন্তানকে আমার জিম্মায় দেওয়া হয়। সন্তান বিক্রির যে অভিযোগ থানায় করা হয়েছে তা ঠিক নয়। আমি সম্পর্কে এক খালাতো বোনের কাছে সন্তানকে লালনপালন করতে দিয়েছি।’
তবে সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সুমন মিয়া বলেন, ‘শুনেছি শিশুটিকে দত্তক দেওয়া হয়েছে। বিক্রির বিষয়ে আমি জানি না।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহফুজ বলেন, ‘শিশুটির বাবাকে সংবাদ দিয়েছি আসার জন্য। তিনি এলে শিশুটিকে উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’