বিল পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় নবজাতক বিক্রি
রংপুর অফিস
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:০৭ পিএম
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৩০ পিএম
সোমবার দুপুরে আদালত ভুক্তভোগী নবজাতকের মা লাবনীর জবানবন্দি শেষে নবজাতককে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। প্রবা ফটো
রংপুরে বিল দিতে ব্যর্থ হওয়ার অজুহাতে ৪০ হাজার টাকায় জোরপূর্বক নবজাতক বিক্রির ঘটনায় হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালকে সিলগালা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সিলগালা করা হয়। এদিকে দুপুরে ওই নবজাতকের মা মোছা. লাবনী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এ জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে কীভাবে তার সন্তানকে বিক্রি করা হয়েছে তা বর্ণনা দেন। আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম সব শোনার পর নবজাতককে লাবনীর জিম্মায় দেন। আদালত থেকে মা নবজাতককে নিয়ে নগরীর পাঠানপাড়ার ভাড়া বাসায় উঠেছেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স ছিল না। অবৈধভাবে হাসপাতালটি চলছে। সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা গিয়ে হাসপাতালটি বন্ধসহ সিলগালা করে দেন।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজনু মিয়া বলেন, ‘আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করায় বিচারক নবজাতকের মা ভুক্তভোগী মোছা. লাবনীর জবানবন্দি শুনে নবজাতককে তার জিম্মায় দেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
১৩ জানুয়ারি রংপুর নগরীর বুড়ারঘাট এলাকার ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী লাবনী প্রসববেদনা নিয়ে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই রাতে সিজারের মাধ্যমে তিনি একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন। এর তিন দিন পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ লাবনী ও তার স্বামীকে বিল পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকে। ওয়াসিম ও লাবনী দম্পতির অসচ্ছলতাকে পুঁজি করে ক্লিনিকের পরিচালক এমএস রহমান রনি তার পূর্বপরিচিত জেরিনা আক্তার বিথী ও তার স্বামী রুবেল হোসেন রতনের কাছে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নবজাতককে বিক্রি করে দেন। এতে সহযোগিতা করে লাবনীর স্বামী ওয়াসিম। এ ঘটনায় লাবনী কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ রবিবার নগরীর পীরজাবাদ এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।