সীমান্ত হত্যা
যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৩১ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৫ পিএম
আনুষ্ঠানিকতা শেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বুধবার শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জামিল ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা লাশ গ্রহণ করেন। প্রবা ফটো
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীনের মরদেহ দুই দিন পর ফেরত দিল বিএসএফ।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় শার্শার শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। ৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জামিল ও সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা লাশ গ্রহণ করেন।
৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জামিল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার ভোরের দিকে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সিপাহি মোহাম্মদ রইস উদ্দীন। এরপর লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। রইসের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
ঘটনার পর বিজিবির যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়, বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে সোমবার ভোরে চোরাকারবারিরা গরু আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য সিপাহি রইস উদ্দীন বিএসএফ সদস্যদের দেখে সামনে এগিয়ে যান।
আরও বলা হয়, ঘটনার সময় সিপাহি রইস জ্যাকেট পরিহিত ছিলেন। বিএসএফ সদস্যদের কাছে নিজেকে তিনি বিজিবি সদস্য পরিচয় দেন এবং ঘটনার ব্যাপারে জানতে চান। পরিচয় পাওয়ার পরও বিএসএফ সদস্যরা রইসকে গুলি করে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা তাকে বাংলাদেশ থেকে ভারত সীমান্তের ভেতরে নিয়ে যায়।
পরে বিএসএফ তাকে ভারতের বনগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে রইস উদ্দীনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোররাতে তারা অন্তত ৮-৯ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন।
এ ঘটনায় পরে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।