মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৯ পিএম
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫০ এএম
কিশোরগঞ্জে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিক ও তার স্বজনদের হামলায় আবদুল মালেক নামে এক মাছ ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের হুমায়ুন, ওসমান মিয়া ও সিরাজ মিয়া, নাদিফ মিয়া ওরফে নাদিম।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত পাশের হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জের রায়লা এবং মিঠামইন উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আবদুল মালেকের স্ত্রী সাহেদা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের আবদুল মালেকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে মঙ্গলবার স্বামী মালেককে প্রেমিক মালেকের লোকজন মারধর করেন। এতে মালেক মারা যান।
তিনি আরও বলেন, নিহতের বড় ভাই হামিদুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মিঠামইন থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজকে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত মালেকের স্ত্রী সাহেদা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের আবদুল মালেকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন ধরে তিনি সাহেদাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাহেদা স্বামীর সংসার ছেড়ে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় একটি বাজারে সাহেদাকে পেয়ে পরকীয়া প্রেমিক মালেক তাকে মারধর করেন। স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী মালেক প্রতিবাদ করেন এবং বিচার চেয়ে প্রেমিক মালেকের পরিবারের কাছে নালিশ করেন। কিন্তু তারা কোনো সুরাহা না করে উল্টো স্বামী মালেককে গালমন্দ করেন এবং হুমকিধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
তারা আরও জানান, স্থানীয় লোকজনকে স্বামী মালেক বিষয়টি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন দুপুরে প্রেমিক মালেক, তার পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা দেশি অস্ত্র নিয়ে স্বামী মালেকের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর চড়াও হন। তাদের মারধরে মালেক গুরুতর আহত হলে সাহেদা ও স্বজনরা চিকিৎসার জন্য অটোরিকশায় করে কাটখাল বাজারে নেওয়ার জন্য রওনা হন। পথে অটোরিকশা আটকে হামলাকারীরা পুনরায় মালেককে মারধর করলে কাটখাল বাজারের পল্লী চিকিৎসক নূরুল আমিনের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি তাকে মৃত ঘোষণা করেন।