নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৯ পিএম
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩০ পিএম
সংবাদত সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেন। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সিগারেট কেনার ৫০ টাকা না দেওয়ায় অটোরিকশা চালক বন্ধুকে ইটের আঘাতে হত্যা করার বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামি। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট মো. ইকবাল হোসাইন এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
বেগমগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত মামুনুর রশিদ বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাকীপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপরদিকে আসামি সোহাগ বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ দোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বেগমগঞ্জ থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ২২ তারিখ থেকে অটোরিকশা চালক মামুন নিখোঁজ ছিল। গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাকীপুর গ্রামের একটি সুপারি বাগান থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজগঞ্জ ইউনিয়নের মামুন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মূলত তাদের মধ্যে একবছর ধরে বন্ধুত্ব। তারা একসঙ্গে নেশা করত। হত্যাকাণ্ডের কারণ ৫০ টাকার সিগারেট ক্রয়ের টাকা না দেওয়া। মামুন গাঁজা খেতে চাওয়ায় ৫০ টাকার সিগারেট আনেন সোহাগ। কিন্তু সেই টাকা না দেওয়ায় কথা-কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে সোহাগ ইট দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত করেন। তারপর ইটটি পাশে থাকা পুকুরে ফেলে পালিয়ে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুরতহাল করার সময় ভুক্তভোগীর মাথার পিছনের ডান পাশে, কপালের বাম পাশে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। মরদেহ আংশিক পঁচা, পেট ফোলা ও মুখমন্ডল বিকৃত অবস্থায় দেখা যায়। আমরা আলামত হিসেবে মাথায় আঘাত করা ইটটি পুকুর থেকে উদ্ধার করি। ঘটনাস্থলের পাশে বাগান হতে ভুক্তভোগীর পরিহিত স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। আসামিকে চরজব্বর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে এক পুরিয়া গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম, থানার এসআই (নিরস্ত্র) ফিরোজ আহমেদ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) আওলাদ হোসেন রিকাবদার প্রমুখ।