আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৬ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:১০ পিএম
বরগুনার তালতলী উপজেলায় অবস্থিত দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রবা ফটো
বরগুনায় তালতলী উপজেলায় এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থার অনিয়ম। তদন্তে উঠে এসেছে– দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের হাসপাতালটির অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসকের নেই সার্জিক্যাল চিকিৎসা সনদ। এমনকি সার্জন পরিচয় দেওয়া এই চিকিৎসকের সহকারীরও নেই সনদ।
হাসপাতালটিতে লিপি আক্তার নামের এক প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা হয় গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে। প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে এলে তাকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়। তার অস্ত্রোপচার করেন রুনা রহমান নামের এক চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারের আগে প্রসূতিকে অচেতন করা বা অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করেন রুনা রহমানের সহযোগী একেএম রায়হানুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অস্ত্রোপচারের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলেন চিকিৎসক। ঘটনা জেনে পরদিন রবিবার (২৮ জানুয়ারি) তদন্তে নামে জেলা সিভিল সার্জন। তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুমন পোদ্দারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা হাসপাতাল পরিদর্শন ও সার্বিক তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তারা।
তদন্ত কমিটির প্রধান সুমন পোদ্দার বলেন, ‘২০২২ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হাসপাতালটির অনুমতিপত্র নবায়ন করা হয়নি। অধিদপ্তরের বিধি অনুযায়ী হাসপাতালে প্রশিক্ষিত লোকবলের অভাব রয়েছে। প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসকের সার্জিক্যাল চিকিৎসা সনদ নেই। প্রসূতিকে অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করা চিকিৎসকের সহযোগীরও কোনো সনদ নেই।’
এ ব্যাপারে জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নবজাতকের বাবা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমার সন্তানের পিঠে কাটা স্থানে ক্ষত হয়েছে। অবস্থা বেশি ভালো না। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিয়ে যাব।’
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন ফজলুল হক বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’