শাহজাদপুরে বাসচাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

সিরাজগগঞ্জের শাহজাদপুরে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা মিতু বিশ্বাস ও তার সাত বছরের শিশু মেয়ে ইচ্ছা মনির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সিএনজিতে থাকা আরও পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের শাহজাদপুরের মাদলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রঞ্জু মিয়া প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত মিতু বিশ্বাস ও তার মেয়ে ইচ্ছা মনি শাহজাদপুরের খুকনী ইউনিয়নের যুগীবাড়ি গ্রামের সুদাম মিস্ত্রীর স্ত্রী ও কন্যা। 

আহতরা হলো- মিতু বিশ্বাসের বড় মেয়ে কথা মনি, তার ছোটবোন, তার মামী কাঁদাই গ্রামের বাবলু মিস্ত্রীর স্ত্রী অরুনা মিস্ত্রী ও তার ছেলে সৌরভ এবং সিএনজি চালক চিনাখড়া গ্রামের তাইমুন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, আজ বৃহস্পতিবার  সকালে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মাদলা নামক স্থানে সাঁথিয়ার চিনাখড়াগামী একটি সিএনজিকে পাবনা থেকে ঢাকাগামী শাহজাদপুর ট্রাভেলস একটির বাস ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মিতু বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী মিতু বিশ্বাসের দুই মেয়েসহ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মিতু বিশ্বাসের ছোট মেয়ে ইচ্ছা মনিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

সংবাদ পেয়ে শাহজাদপুর থানা-পুলিশের একটি দল এবং হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এই ঘটনায় শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম বলেন, ‘আহত ছয় জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শিশু ইচ্ছা মনিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত কথা মনি ও আরও এক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত অরুনা বিশ্বাসকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘নিহত ও আহতরা একই পরিবারের সদস্য। তারা সিএনজি করে যুগিবাড়ী থেকে সাঁথিয়ার চিনাখরায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন।’