× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বাউফলের কেশবপুর

উপনির্বাচনে প্রার্থী এক ডজনেরও বেশি

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৪ পিএম

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১৬ পিএম

উপনির্বাচনে প্রার্থী এক ডজনেরও বেশি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে মাঠে নেমেছেন ১৪ জন প্রার্থী। তবে তারা সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পদ-পদবিধারী। এসব প্রার্থীর ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো কেশবপুর। 

নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী থাকবে বলে জানা গেছে। দলীয় সমর্থন পেতে বিভিন্ন মহলে জোর লবিং তদবির চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নজর এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের গ্রিন সিগন্যালের দিকে। 

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৩ জুন নির্বাচনে আওয়াম লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু। গত বছরের ১৪ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত মারা যান তিনি। পরে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি শূন্য পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ মার্চ কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ১৫ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৬ হাজার ৩১৬ জন।

উপনির্বাচনে যে ১৪ প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেনÑ প্রয়াত চেয়ারম্যানের ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সুজন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. মালেক মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আবুল বশার খান, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম খান টিটু, প্রচার সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মো. আসাদুল হক জুয়েল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তুহিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম, সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম রিপন, আনিচুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সোহেল মাহমুদ মৃধা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য সচিব মো. খাইরুল কবির নিপু, সাবেক চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন লাভলু ও ফ্রান্স প্রবাসী এনামুল হক ওরফে অপু দফাদার। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই দলীয় সমর্থন পেলে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আর না পেলে সরে দাঁড়াবেন। তবে প্রয়াত চেয়ারম্যানের ভাই জিয়া উদ্দিন সুজন, মালেক মিয়া, আবুল কালাম আজাদ তুহিন ও এনামুল হকের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। 

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে থাকা একাধিক নেতা জানান, গত নির্বাচনেও অনেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সেবার নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান সালেহ উদ্দিন পিকু। তখন অন্যরা নৌকার সমর্থন জানিয়ে সড়ে দাঁড়ালেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক নির্বাচনে অংশ নেন। এতে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। যার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। তাই এবার দলীয় প্রতীক না থাকলেও যদি সমর্থনের বিষয়টি থাকে তাহলে অনেকে হিসাব-নিকাশ করেই নির্বাচনে থাকবেন। এ ছাড়া এখন সম্ভব্য প্রার্থীরা প্রহর গুনছেন সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের গ্রিন সিগন্যালের আশায়।

সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম খান টিটু বলেন, ‘দীর্ঘদিন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করে আসছি। গত নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলাম। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সরে দাঁড়িয়েছি। এবার যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সমর্থন পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।’ 

ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তুহিন বলেন, ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে দলীয় প্রতীক তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই। নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিতেছি। আশা করি দল আমাকে সমর্থন দেবে।’ 

আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু দল করি, তাই দলের সিদ্ধান্তই মেনে নেব।’ একই কথা বললেন একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। তারা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মোসারেফ হোসেন খান জানান, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে দলীয় প্রতীক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারণে প্রার্থীসংখ্যা বেশি। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় আলোচনা হবে। 

সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘দলীয় প্রতীক না থাকায় অনেকেই প্রার্থী হতে চান। যারা প্রার্থী হতে চান তাদের নিয়ে বসে সমন্বয় করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা