কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৫ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০২ পিএম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মর্টার শেলটি এসে পড়ে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। ছবি : ফোকাস বাংলা
মিয়ানমারে চলমান তীব্র সংঘাতের মধ্যে দেশটি থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অপরজন রোহিঙ্গা পুরুষ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জলপাইতলীর বাদশা মিয়ার স্ত্রী ৫৫ বছরের হোসনে আরা। অপরজন রোহিঙ্গা নাগরিক নবী হোসেন। তিনি হোসনে আরার বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করতে এসেছিলেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ান হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে দুপুরের খাবার দেওয়ার জন্য রান্নাঘরে যান হোসনে আরা। তখন মর্টার শেলটি এসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা সোয়া ৩টা) মরদেহ ঘটনাস্থলে ছিল।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিনও খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিক বিস্তারিত বলতে পারেননি তিনি।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) তীব্র সংঘর্ষ চলছে। এই সংঘর্ষের মধ্যে তাদের ছোড়া গুলিতে গত দুই দিনে অন্তত দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এছাড়া দেশটি থেকে আসা গোলার আঘাতে একটি ঘর পুড়ে যাওয়াসহ অন্তত দুটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে গতকাল প্রথমে বিজিপির ১৪ সদস্য পালিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এখন পর্যন্ত বিজিপির মোট ৯৫ জনের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তাদের মধ্যে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আহত অবস্থায়। এদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আবার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া বিজিপির সদস্যের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠাতে সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।