কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৭ পিএম
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪০ পিএম
প্রতীকী ছবি
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা ১ নম্বর রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আশীষ কুমার আচার্য্যর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তবে ইউপি সচিব ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ওই তরুণীর বাবা বলেন, প্রথমে আমি মনে করেছিলাম মেয়ের পেটে কোনো সমস্যা হয়েছে। পরে তাকে ঢাকা মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাই। পরে জানতে পারি সে ছয় মাসের গর্ভবতী। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, ইউপি সচিব ধর্ষণ করেছে। পরে ইউপি সচিব আশীষ কুমার আচার্য্য গত মঙ্গলবার হোমনা হাসপাতালে নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে দেয়।
ওই তরুণী বলেন, তালতুলি গ্রামের জরিনা আক্তার ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের সঙ্গে মিলিয়ে দেন। আমি গর্ভবতী হওয়ার পর জরিনা ও ইউপি সচিবকে জানিয়েছিলাম। জরিনা ওষুধ খেয়ে নষ্ট করে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
জরিনা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমি জড়িত না। এতটুকু বলতে পারি ভুক্তভোগী আমার মেয়ের সঙ্গে চলাফেরা করত। আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত সে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব আশীষ কুমার আচার্য্য ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট কথাবার্তা বলতেছে।
১ নম্বর রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে জানার পর তাদের বাড়িতে সকালে গিয়েছিলাম ঘটনা জানার জন্য। পরে জানতে পারলাম সবই সত্যি। ধর্ষণকারীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে মামলা নেব।