আসামি হারুন ৪ দিনের রিমান্ডে

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরওয়াপদা ইউনিয়নে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দ্বিতীয় আসামি মো. হারুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিকে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন। রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া ইসলাম আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

আসামি মো. হারুন সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের বাসিন্দা।

চরজব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘আজ সকালে ঢাকার গাবতলী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেখানো মতে মামলার আলামত নাকফুল ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়। তারপর বিকালে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। তার উপস্থিতিতে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হলে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’ 

সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চরওয়াপদা ইউনিয়নে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় গৃহবধূ ও তার মেয়ে। এ সময় ঘর থেকে নাকফুল, কানের দুল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর দিনমজুর স্বামী কাজের জন্য ওই রাতে বাইরে থাকায় তিনি তার তিন সন্তান নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন। এই সুযোগে ধর্ষণের পরিকল্পনা সাজান আসামিরা।

সুবর্ণচর উপজেলাটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের জরিমানাও করেছেন আদালত।