নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:০৯ পিএম
দিনমজুর বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া পেট জোড়া লাগানো যমজ শিশু (কনজয়েন্ট টুইন বেবি) মায়মুনা ও মরিয়মের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য ও শ্রম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিম।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তাদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ যান তিনি। এসময় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মায়মুনা-মরিয়মের চিকিৎসা ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন।
গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে আফরোজা সুলতানা মেঘলা ও শাহানুর ইসলাম দম্পতির যমজ কন্যার জন্ম হয়। তবে নবজাতক দুজনের পেটে জোড় লাগানো ছিল। আফরোজা সুলতানা মেঘলার বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায়। শাহানুর ইসলামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায়। শাহানুর মুন্সিগঞ্জের ভাটারচরে একটি কাপড়ের মিলে স্বল্প বেতনে দিনমজুরের কাজ করেন। টাকার অভাবে জোড় লাগানো শিশুর দিনমজুর বাবা উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমের নজরে আসলে তিনি তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় শিশু দুইটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এমপি ইব্রাহিম এমপি বলেন, মানবিক জায়গা থেকে শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আমার বাবা-মায়ের নামে প্রায় ২ শত কোটি টাকার সম্পদ ছিল। সব সম্পদ ওয়াকফ করা। সব সম্পদ আমরা মানুষের কল্যাণে দান করেছি। তাদের জন্য মানুষ দোয়া করুক এটাই আমরা চাই।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই জোড়া লাগা শিশুদের আলদা করা যাবে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তারা আরও নিশ্চিত করে সব বলতে পারবেন। তাদের চিকিৎসায় যত টাকা প্রয়োজন হয় সব আমি দিবো। আজ তাদের নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। অপারেশন সুন্দরভাবে সফল হওয়ার পরও আমার সাহায্য সব সময় থাকবে।
শিশুদের বাবা শাহানুর ইসলাম বলেন, এমপি স্যারের পরামর্শে শিশু দুটিকে ঢাকায় নিয়ে এসেছি। উনার সঙ্গে সব সময় মোবাইলে যোগাযোগ হয়। আজ তিনি এসে আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। আমি বাচ্চাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
শিশুদের মা মেঘলা বলেন, সন্তানদের জন্মের পর এ অবস্থা দেখে সবাই চিন্তিত ছিলাম। তাদের চিকিৎসার আর্থিক সক্ষমতা আমাদের ছিল না। এমপি ইব্রাহিম স্যার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সে জন্য তাকে ধন্যবাদ। আমার সন্তানদের অপারেশন যেন সফল, তারা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে সে জন্য সবার দোয়া চাই।