সাইদ মেমন, বরিশাল
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:০৭ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২৮ পিএম
শুঁটকিপল্লীতে কর্মরত এক নারী। প্রবা ফটো
মাছের আকালে হতাশ বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শুঁটকিপল্লীর জেলেরা। ভরা মৌসুমে দেশীয় মাছের স্বল্পতায় আর্থিক কষ্টে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা। আগৈলঝাড়া পয়সারহাট-ত্রিমুখী-রাজাপুর গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শুঁটকিপল্লী। এ অঞ্চলের পাঁচ শতাধিক পরিবার শুঁটকির ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। বিল ও নদী থেকে ধরা দেশীয় পুঁটি, শৌল, টেংরা, খলিশা, মেনি, ফলি, বজুরী, বাইন মাছ দিয়ে শুঁটকি করে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এই শুঁটকির চাহিদা রয়েছে।
আগৈলঝাড়ার রাজাপুর গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী অবনী রায় বলেন, আগৈলঝাড়ার এক পাশে নদী অববাহিকা এলাকা ও অন্য পাশে কোটালীপাড়ার বিল। মধ্যবর্তী এই উপজেলায় বিল থেকে সংগ্রহ করা মাছের শুঁটকির চাহিদা বেশি। বছরের আশ্বিন মাসের প্রথম থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত ছয় মাস শুঁটকি তৈরি করা হয়। দেশি প্রজাতির অনেক মাছ এখন অনেক কমে গেছে। তাই এ পল্লীর মানুষ বিপাকে পড়েছে।
সমস্যা হলো অধিকাংশ ব্যবসায়ীই মহাজনের কাছ থেকে দাদন ও স্থানীয় বিভিন্ন মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে শুঁটকির ব্যবসা করেন। মৌসুম শেষে ওই দাদন ও ঋণের টাকা পরিশোধ করে তাদের হাতে তেমন কিছু থাকে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী মনমথ রায়, অশোক রায়, জয়নাল চৌকিদার, মঙ্গল অধিকারী ও নরেশ তালুকদার বলেন, এক মণ পুঁটি মাছের শুঁটকি ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু মাছেরই যখন আকাল তখন কিভাবে চলবে তাদের।
শুঁটকি ব্যবসায়ী অবনী রায় বলেন, জেলেরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। সহজ শর্তে ঋণ দাবি করে এলেও বরাবরই তা উপেক্ষিত হয়ে আসছে।